মোবাইল অ্যাপে মিলবে স্বাস্থ্যসেবা

দেশের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে চালু হয়েছে মোবাইল অ্যাপসভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা ‘ডাক্তার ভাই’। ডিজিটাল এ পদ্ধতিতে ব্যক্তি তার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সব তথ্য মোবাইল ফোনে একটি অ্যাপের মাধ্যমে সংরক্ষণ করতে পারবেন। হটলাইনে কল করে পাওয়া যাবে ছয় হাজারেরও বেশি চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৩০০ হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসায় বিশেষ ছাড়। এছাড়া বাড়তি সুবিধা হিসেবে রয়েছে বার্ষিক ১৫ হাজার টাকার স্বাস্থ্য বীমা। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানী গুলশানের ডেভোটেক টেকনোলজি পার্ক মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় সংশ্লিষ্টরা এসব তথ্য জানান। এ সময় বলা হয়, তথ্যপ্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে সহজতর করতেই এটি চালু করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে স্বাস্থ্য তথ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতা ও দাতাদের মধ্যে সহজেই সঠিক উপায়ে সংযোগ স্থাপন করা যাবে। শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্য জেনে গুণগত চিকিৎসাসেবা নিতে পারবে। পাশাপাশি হেলথ রেকর্ড, চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা, সাক্ষাৎকার, ওষুধ নির্দেশনাসহ চিকিৎসা খরচাপাতি সম্পর্কেও জানা যাবে।

মোবাইল ফোনের এ অ্যাপটি ব্যবহার করে আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার তথ্য যেমন- উচ্চতা-ওজন, রক্তচাপ, রক্তে শর্করার পরিমাণ, রেনাল ফাংশন, লিভার ফাংশন, থাইরয়েড ফাংশন, সেরোলজি ইলেকট্রোলাইটস, সিবিসি, ইউরিন প্রোফাইল ও টিউমার মার্কারসসহ আরও অনেক তথ্য সংরক্ষণ ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাওয়া যাবে। এছাড়া অ্যাপটির সঙ্গে রয়েছে মাত্র ৫০০ টাকা প্রিমিয়ারে এক বছরের জন্য ১৫ হাজার টাকার বীমা সুবিধা। এর আওতায় রয়েছে বছরে ১২ দিনের হাসপাতালে থাকা বাবদ প্রতিদিন ১ হাজার হিসাবে ১২ হাজার টাকা এবং তিন হাজার টাকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এছাড়া চিকিৎসকের কনসালটেন্সি বাবদ রয়েছে আর্থিক সুবিধা।

স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত এ অ্যাপটি বাংলাদেশে এনেছে ‘হেলথ কেয়ার ইনফরমেশন সিস্টেম লিমিটেড’। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হারুনুর রশিদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬৮ ভাগই রোগীকে পকেট থেকে ব্যয় করতে হয়। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে ব্যক্তির নিজস্ব স্বাস্থ্য ব্যয় ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এ অ্যাপটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

News Link