স্বাস্থ্যের নতুন অ্যাপস ‘ডাক্তারভাই’
স্বাস্থ্যসেবা তথ্যের জন্য বাজারে এসেছে নতুন একটি অ্যাপস ‘ডাক্তারভাই’। তথ্যের বাদ ভেঙে মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবার তথ্য সরবরাহ করাই যার উদ্দেশ্য। তথ্য প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবাকে সাধারণ মানুষের জন্য আরো সহজলভ্য ও সহজতর করার জন্য হেলথকেয়ার ইনফরমেশন সিস্টেম লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই কার্যক্রম শুরু করেছে। গত ১২ই এপ্রিল গুলশানে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ স্বাস্থ্য বিটের সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, নিজের স্বাস্থ্য রেকর্ড সম্পর্কে ধারণা রাখা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার পূর্বশর্ত। স্বাস্থ্য রেকর্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবার গ্রহীতা ও দাতাদের মধ্যে সঠিক উপায়ে সংযোগ স্থাপন করতে পারলে গুণগত মানের উৎকর্ষতার দিক দিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে যুগান্তকারী এক পরিবর্তন নিয়ে আসা সম্ভব।
সেই লক্ষ্যকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে হেলথকেয়ার ইনফরমেশন সিস্টেম। তিনি আরো বলেন, তথ্যের বাদ ভেঙে মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবার তথ্য নিয়ে এসেছে ‘ডাক্তারভাই’ নামে নতুন একটি অ্যাপস। ইলেক্ট্রনিক পার্সোনাল হেলথ রেকর্ড (ইপিএইচআর)- ‘ডাক্তারভাই’ অ্যাপস বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ডিজিটাল উপায়ে সংরক্ষণ করা যাবে স্বাস্থ্য রেকর্ড। এর মাধ্যমে নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সর্বশেষ অবস্থা ওয়াকিবহাল থাকা যাবে। ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ক্ষেত্রে ‘ডাক্তারভাই’ অ্যাপসের মাধ্যমে অথবা ১৬৫৪৪ হটলাইনে কল করে সহজেই বুক করতে পারেন ৬ হাজারের বেশি ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট। ডিসকাউন্ট-এর ক্ষেত্রে দেশব্যাপী ৪শ’র বেশি পাটনার হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফার্মেসি ও লাইনস্টাইল আউটলেট থেকে উপভোগ করা যাবে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট। এতে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহীতার চিকিৎসা ও সুস্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যয় কমবে বলে এই বিশেষজ্ঞ উল্লেখ করেন। ক্যাশব্যাক অফার বিষয়ে তিনি বলেন, বছরে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত ‘হসপিটাল ক্যাশব্যাক’ এবং ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত ডায়াগনস্টিক টেস্ট ক্যাশব্যাক সুবিধা পাওয়া যাবে। থাকবে ফ্রি জীবনবীমা সংক্রান্ত ২৫ হাজার টাকার পর্যন্ত বীমা কভারেজ। এজন্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহীতাকে কিছু শর্ত পালন করতে হবে। ‘ডাক্তারভাই-এর জন্য মাত্র ৫০০ টাকা খরচ করতে হবে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহীতাকে। কিন্তু স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা পাবেন এক বছর। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সাল থেকে কাজ শুরু করলেও ২০১৬ সালে কিছু গার্মেন্ট ও ব্যাংক কর্মীর মধ্যে পাইলট প্রকল্প হিসেবে কাজ শুরু করে।